
ফারুক হোসেন, ঢাকা :বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর প্রকাশ্যে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে হল প্রভোস্টদের নিয়ে বৈঠকের পর সন্ধ্যা ৬টায় শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন উপাচার্য।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার শুরুর দিতে নীতিগতভাবে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানান সাইফুল ইসলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানালে অপারগতা দেখান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুরু করে।
সন্ধ্যায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসার পর শিক্ষার্থীরা জানতে চান, দুদিন ধরে তিনি কোথায় ছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো জবাব না দিয়ে সরাসরি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চান। মাইক দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আবরারের মৃত্যু হয়েছে।’
উপাচার্যের এমন মন্তব্য শুনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। পরে তারা আবরারের মৃত্যু নয় তার খুন হয়েছে বলে চিৎকার শুরু করলে উপাচার্য বলেন, ‘ঠিক আছে খুনই হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। ৫-৬ জনকে নিয়ে বসেছি। সবতো আমার হাতে নেই, যেগুলো আমার হাতে আছে সেগুলো আমি করছি। নীতিগতভাবে তোমাদের পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। সারা দিন মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তোমরা অধৈর্য হবে না।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে সিন্ধান্ত না দিয়ে উপাচার্যকে ক্যাম্পাস না ছাড়ার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় ও প্রশাসনের সিন্ধান্ত জানতে চাইলে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তো কোনো অন্যায় করিনি।’ এ কথা শোনার পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে।
এখনো শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে।